1. admin@bijoy52tv.com : bijoy52tv :
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:১৮ অপরাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব শুরু পিরোজপুরে -জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিসভা

পিরোজপুর রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময়ঃ রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ৮৬ জন দেখেছেন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাব শুরু হয়েছে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে। রবিবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। দুপুরের পর থেকে শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ‘সিত্রাং’ আঘাত হানলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অরক্ষিত বেড়িবাধের আশপাশে মানুষ রয়েছে আতংকে।

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় পিরোজপুরে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলার ৭ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন সরকারী -বেসরকারী দফতরের কর্মকর্তা, রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক আগাম প্রস্তুতির ব্যাপারে সকল উপজেলা নির্বাহীদেরসহ সকলকে দিক নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক জানান, জেলার ৭ উপজেলায় জনসাধারণের আশ্রয়ের জন্য ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার যেখানে ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত আছে যেখানে আরও ১ লক্ষ ২৮ হাজার ২৫০ জন মানুষ বিপদের সময় আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মে.ট. চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক উপজেলাসমুহে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, তাদের মোট ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধের পর্যাপ্ত যোগান তাদের রয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সহযোগিতার নিশ্চয়তাসহ সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।

এদিকে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, বড়মাছুয়া ইন্দুরকানী উপজেলারটগরা ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ২৩ কি.মি. বেরিবাধ অরক্ষিত আছে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, মঠবাড়িযার খেতাছিড়া, কঁচুবাড়িয়া, বড়মাছুয়া ভাংগন এরাকায় কিছু গাইড ওয়াল করা হয়েছে। এছাড়া ৮৩০ কি.মি. এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি জানান, তাদের হাতে বেশ কিছু জিও ব্যাগ প্রস্তুত আছে যা জরুরি কাজের সময় ব্যবহার করা যাবে। এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক বলেন, বর্তমানে কৃষকের জমিতে আমন ধানের ফলন আছে, জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙ্গা বাধের কারণে যদি জমিতে পানি ঢুকে পরে, তবে শত শত হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাবে….।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর পড়ুন
© All rights reserved © 2025
Developer By Zorex Zira