শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, তারাই আজ মায়াকান্না করছেন। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার হুমকি দিচ্ছেন। দেশের মানুষ শান্তি চায়, স্থিতিশীলতা চায়। তারা জনগণের চাওয়ার ঠিক উল্টো করতে চান। তারা মূলত অগ্নিসংযোগকারী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারী। তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। আর যে আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই, সেটা কখনো গণ-আন্দোলনে রূপ নেয় না। সেই আন্দোলনে সরকার হটানো যায় না।’
দীপু মনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছে। বিশ্বে শিক্ষার মান যে গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে, সেখানে আমাদের দেশে ছোটখাটো পরিবর্তন যথেষ্ট নয়। তাই এখন শিক্ষার মানোন্নয়ন করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বৃদ্ধি, আইসিটি সেক্টর ব্যবহারের দিকে সরকার নজর দিয়েছে। সবার প্রচেষ্টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও কীভাবে শৃঙ্খল করা যায়, সে বিষয়েও নানা পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।’
এদিন বিকেলে কলেজের অস্থায়ী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রণজিৎ রায় এমপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. আহসান হাবীব, স্থানীয় সরকার যশোরের উপপরিচালক মো. হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. সাইফুল ইসলাম, বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান, বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দীন ও শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে আজকের পত্রিকার উপসম্পাদক জাহীদ রেজা নূর। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ পরিতোষ কুমার ঘোষ, মির্জাপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, লেখক ও কলামিস্ট মাও. নাজমুল হুদা, নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা, বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ মন্ডল, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল কুদ্দুস, বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম শাহজালাল প্রমুখ।
Leave a Reply