আদালতের নির্দেশের পরও আলীকদমে বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ
আলীকদম উপজেলা প্রতিনিধি:-
আদালতের আদেশের পরও বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর নির্মাণ করে জবর দখলে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে আলীকদম সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডস্থ ইউনুছ মেম্বার পাড়ার আঃ মন্নান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
আলীকদম সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কলারঝিরি ইউনুছ মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা মৃত আনছার আলীর ওয়ারিশ (পুত্র-কন্যা) আব্দুল কুদ্দুছ, আব্দুল ছোবহান, জুলেখা বেগম, আমেনা বেগম ও দেলোয়ার হোসেনের প্রতিবেশী আব্দুল মন্নানের সাথে উক্ত জমির মালিকানা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।
মৃত আনছার আলীর ওয়ারিশগন জানান, ইতিপূর্বে জায়গাটি দখলের উদ্দেশ্যে আমাদের একটি বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে অভিযুক্ত দখলদার আব্দুল মন্নানের পরিবারের সদস্যরা। তৎকালীন সময়ে ঘর পোড়ানোর দায়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় তারা আবারো আদালত অবমাননা করে উক্ত জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে রাতারাতি একটি ঘর নির্মাণ করেছে।
এব্যাপারে মৃত আনছার আলীর ওয়ারিশগন আরো বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় আমরা প্রকৃত মালিকের নিকট জায়গাটি হস্তান্তরের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি এবং আমরা মৃত আনছার আলীর ওয়ারিশগন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ বিবাদী আব্দুল মন্নান ও তার পরিবারের সদস্যরা অতিশয় সন্ত্রাসী ও উশৃংখল প্রকৃতির।
তারা পেশীশক্তি প্রয়োগ করে এবং আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে উক্ত বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর নির্মাণসহ জবর দখলে লিপ্ত রয়েছে। তাদের দাবীকৃত জায়গাটি অন্য একটি খতিয়ানের এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন চৌহদ্দির। যা আমাদের মৌজা ভূক্ত নয়।
সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবেশীদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে আগে উক্ত জায়গায় ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নেন আব্দুল মন্নানের পরিবারের সদস্যরা। এসময় বাদী আব্দুল কুদ্দুছ থানা পুলিশের সহায়তায় ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু তিন চারদিন পর তারা আবারো নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং সেখানে একটি ঘর নির্মাণ করেন। এরমধ্যে গত ১২/১০/২০২৩ইং তারিখে আদালতের একটি আদেশ তাদের কাছে পৌছালেও তারা উক্ত জায়গা থেকে সরে না গিয়ে এখনো ওই ঘরে অবস্থান করছে। আদালতের আদেশের সাথে সাথে তারা তড়িঘড়ি করে রাতারাতি বসবাসের অনুপযোগী বাঁশের বেড়া, কাঠ ও টিন দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করে জায়গাটিতে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বিবাদী আব্দুল মন্নান মামলা চলমান এবং আদালতের আদেশ প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, বাদীর দেয়া তথ্য সঠিক নয়। আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারী হওয়ার আগেই ওই ঘরটি তুলেছি। গত ১৯/০৫/২০২৩ং তারিখে এই জায়গা নিয়ে দায়ের হওয়া অন্য একটি মামলায় আদালতের নির্দেশে সরকারি আমিন দ্বারা আমাকে পরিমাপ করে দেওয়া জায়গাতেই আমি ঘর নির্মাণ করেছি।
Leave a Reply