1. admin@bijoy52tv.com : bijoy52tv :
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অস্বাস্থ্যকর অনুমোদনহীন বেকারি

বিজয় ৫২ টিভি
  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৯০ জন দেখেছেন

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক অস্বাস্থ্যকর বেকারি কারখানা।
ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বেকারি ব্যবসার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।এসব এলাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থাকলেও নেই তদারকি। অপরিকল্পিত কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে বাজারজাত করলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছেন নিরব।

এদিকে দোকানদাররা প্রতিনিয়ত মালামাল কিনলেও মালিক বা কারখানার অস্তিত্ব জানে না অনেকেই। রোজ ভ্যানে করে মালামাল দোকানে দোকানে পৌঁছে দেয় বেকারিগুলো। সন্ধ্যায় মালামাল বিক্রির অর্থ আদায় করেন ভ্যান চালকরা। খাদ্যসামগ্রীর লেভেলে কারখানার নাম থাকলেও ঠিকানা থাকে না। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের বালাই নেই। ভোক্তা অধিকার আইনে জেল-জরিমানা থাকলেও বেকারি ব্যবসায়ীদের মনে ভয়ভীতি নেই।

এভাবেই বেকারিগুলোতে তৈরি নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রীর জমজমাট কারবার চলছে। সরেজমিনে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।এসব মানহীন বেকারি কারখানার বেশির ভাগই উপজেলা সহ প্রত্যন্ত এলাকায়।দুটি কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে ঝিনাইগাতী শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম সংলগ্ন এনা ফুড ও ভালুকা এলাকার খান ফুড।এনা ফুড ফুডস্ ও খান ফুডস্ নামের বেকারি নোংরা পরিবেশে চলছে। বেকারিগুলোতে নিম্নমানের পাউরুটি, জেলি বন্ড, বিস্কুট,কেক, মিষ্টি,সিঙ্গাড়া ও বিভিন্ন ধরনের টোস্ট,সল্টেস, ড্রাই কেক,চানাচুর তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে।

ধুলাবালু খাবারে মিশে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।এ বিষয়ে এনা ফুডস্ এর মালিক বলেন, কর্তৃপক্ষের পরামর্শ ক্রমে বেকারি চালাচ্ছি। তৈরিকৃত খাদ্যসামগ্রীর বিএসটিআই’র অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ঝিনাইগাতী উপজেলায় কোনো বেকারির বৈধ অনুমোদন নেই।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূইয়া বলেন,তথ্য পেলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবো।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর পড়ুন
© All rights reserved © 2025
Developer By Zorex Zira