1. admin@bijoy52tv.com : bijoy52tv :
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন

১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস এর রক্তাক্ত ইতিহাস ( মোহাম্মদ হৃদয় শেখ)

বিজয় ৫২ টিভি
  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৬০ জন দেখেছেন

মো: হৃদয় শেখ:

দিবসে কত প্রেমিক গুঁজে দেবে প্রেমিকার খোঁপায় গোলাপ, কত উপহার, চাওয়া-পাওয়ার, প্রতিশ্রুতির হবে বিনিময়! কিন্তু কেন এই দিনটিই ভালোবাসা দিবস? বিশেষ করে ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখটিতেই কেন এত বিয়ে, প্রেমের প্রস্তাব, এত উৎযাপন? কি ঘটেছিল এই দিনটিতে যার ধারায় ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে আমরা নানান স্বপ্নের জাল বুনি?

ভ্যালেটাইন্স ডে’র ইতিহাস জানতে চলুন ফিরে যাই ২৩০০ বছর পেছনে। হ্যাঁ, গল্পটি এতই প্রাচীন। ভালোবাসার শুরু তো এই সেদিন নয়! তবে গল্প একটি নয়, কয়েকটি। নানান গল্পের মাঝেও এটি নিশ্চিত যে, দিবসটির উৎপত্তি রোমের লুপাক্যালিয়া উৎসব থেকে যা ছিল আসলে উর্বরতা উৎসব।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন খ্রীষ্ট ধর্মপ্রচারক। শিশুদের সাথে দ্রুত মিশে যেতে পারতেন তিনি। নিজের বন্ধুত্বপূর্ণ অমায়িক স্বভাবের কারণে তিনি ছিলেন সবার প্রিয়। সে সময় রোমান সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় ক্লাডিয়াস। তিনি ছিলেন মূর্তি উপাসক। তাঁর সাম্রাজ্যে অন্য কোন ধর্মের প্রচারণা ছিল নিষেধ। কিন্তু গোপনে ধর্মপ্রচার করে যাচ্ছিলেন ভ্যালেন্টাইন। তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্মত্যাগ করার জন্য তাঁর উপর চালানো হয় নির্যাতন। কিন্তু কোন ভাবেই তিনি তাঁর ধর্ম, তাঁর বিশ্বাসকে ত্যাগ করেন নি। ফলে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
আরেকটি প্রচলিত গল্পে বলা হয়, রোমান সম্রাট ক্লাডিয়াস সে সময় বিবাহ প্রথা নিষিদ্ধ করে দেন। সাম্রাজ্যের সুরক্ষার জন্য তাঁর দরকার ছিল দক্ষ সেনাবাহিনীর। তিনি ধারণা করতেন, বিবাহিত সৈনিকদের পিছুটান থাকে, ফলে তারা সব ভয় দূর করে লড়াই করতে পারে না। কিন্তু অবিবাহিত যুবকদের কোন পিছুটান নেই। তাই এরাই যুদ্ধে বেশী পারদর্শী হয়। বিয়ে নিষিদ্ধ করে দিলেও প্রেম তো থেমে থাকে না। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন তখন তরূণদের আহবান জানালেন, খ্রীষ্ট মতে বিয়ে করার জন্য। তরুণ-তরুণীরা ভীড় করতে লাগলেন তাঁর কাছে। যথারীতি জানতে পারলেন সম্রাট। বন্দী হলেন ভ্যালেন্টাইন। কারাগারেও অসংখ্য যুগল তাঁর সাথে দেখা করতে আসতে থাকলেন। তাঁর জনপ্রিয়তায় ক্ষিপ্ত হয়ে সম্রাট তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।৷ য়েজনপ্রিয় গল্পটি সেটি যেখানে ভ্যালেন্টাইন নিজেই প্রেমিক। জেলারের অন্ধ কন্যার প্রেমে পড়েন তিনি। নিজের ভালবাসা আর আধ্যাত্মিক গুনের সংস্পর্শে সারিয়েও তোলেন তাকে। কিন্তু খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী ভ্যালেন্টাইনের এই প্রেম ক্ষিপ্ত করে সম্রাটকে। বন্দী অবস্থায় প্রেমিকাকে লেখা চিঠির শেষে তিনি লেখেন, ‘From your Valentine’. তাকে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে।
১৪ শতকের আগ পর্যন্ত ১৪ ফেব্রুয়ারি উৎযাপনের সাথে ভালোবাসার বিষয়টি জড়িত ছিল না। মধ্যযুগীয় স্কলার হেনরি এন্সগার ক্যালি “চসার এবং সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের ধর্মবিশ্বাস” নামে একটি বই প্রকাশ করেন। এই বই এ প্রথম ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভালোবাসার সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। তারপর ধীরে ধীরে এটি সমস্ত ইউরোপ এবং আরো পরে আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে। ১৮ শতকের মধ্যে এটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসবে পরিণত হয়।
এই হল আমাদের প্রিয় ভালবা সা দিবসের পেছনের গল্প। ইতিহাসটি মোটেও ফুল দেয়া নেয়ার মিষ্টি প্রেমের মতো মধুর নয়। বরং অনেক নিষ্ঠুর আর করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর পড়ুন
© All rights reserved © 2025
Developer By Zorex Zira