পারভেজ রানা, স্টাফ রিপোর্টার
——————————————————
বরগুনার তালতলীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় সড়কে নিম্নমানের ইট সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ নিয়ে দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান সহ বিভিন্ন একাধিক জাতীয় দৈনি পত্রিকা, জাতীয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন, দেশের শীর্ষ অনলাইন মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশ হয়। নিউজ প্রকাশের পর তড়িঘড়ি করে নিজের দায় এড়াতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের সামগ্রী সড়িয়ে নেওয়ার নোটিশ দেয় উপজেলার ঐ প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন।
এঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে আজ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দপশপ সরজমিনে কাজ পরিদর্শনে আসেন বরগুনা এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম।
উল্লেখ্য, তালতলী উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালিপাড়া থেকে নয়াপাড়া পর্যন্ত ১১০০ মিটার সড়ক নির্মাণে দরপত্র আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, নির্বাহী প্রকৌশলী। দরপত্রে অংশগ্রহন করে কাজটি পেয়েছে মেসার্স এনামুল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠানকে ওই কাজের কার্যাদেশ ওই রাস্তার কাজে ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
জানা গেছে, মালিপাড়া থেকে নয়াপাড়া সড়কের নির্মাণকাজ চলছিলো এলজিইডি’র আওতায়। এ কাজের তদারকি’র দায়িত্ব উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীর। তবে সড়ক নির্মাণ কাজটিতে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে কাজ করে আসছে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা কাজে অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা নিম্মমানের কাজ বন্ধের দাবীতে ঝাড়ু মিছিল দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধানে গতকাল সংবাদ পরিবেশন হয়। এতে উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন নিজের দায় এড়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের ইট সামগ্রী আগামী তিন দিনের ভেতরে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে ঝাড়ু মিছিলের নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পরে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে বরগুনা এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মো.নজরুল ইসলামসহ একটি টিম। এসময় তিনি নিম্নমানের ইট সামগ্রী সড়িয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন ও ইট পরিক্ষা করার জন্য নিয়ে যায়। একই সাথে কাজের বিষয়ে এলাকাবাসির সাথেও কথা বলেন। পরবর্তীতে ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে কাজের আশ্বাস দেন।
এবিষয়ে এনামুল এন্টারপ্রাইজের মালিক এনামুল বলেন, আমি এখনো কোনো নোটিশ পাইনি। তবে জেলা থেকে পরির্দশনে এসে নিম্নমানের ইট সামগ্রী সড়িয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তাই তাদের সম্মানে এগুলো সড়িয়ে নিতেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি ঠিকাদারকে নিম্নমানের ইট সামগ্রী সড়িয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছি। তিনি এখনো পায়নি তা আমি জানি না। তবে এখানে দায় এড়ানোর বিষয় না। এ বিষয়ে সামনাসামনি আসেন কথা বলি।
সরজমিনে পরির্দশনে আসা বরগুনা এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মো.নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
Leave a Reply