1. admin@bijoy52tv.com : bijoy52tv :
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৩ অপরাহ্ন

ভেদরগঞ্জে আলহাজ্ব কাজী দিদারবক্স মাদ্রাসায় মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ !

বিজয় ৫২ টিভি
  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৭৮ জন দেখেছেন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ। শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নে আলহাজ্ব কাজী দিদার বক্স ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদ নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ঐ মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি। এ ব্যাপারে সভাপতি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিষ্টারের কাছে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার পানির ট্যাংকি কমিটিকে না জনিয়ে গোপনে বিক্রির অভিযোগ তুলা হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার বলছেন, নির্মাণ কাজে অনিয়ম হয়নি; তবে পানির ট্যাংকি শিক্ষকরা বিক্রি করেছেন। তিনি এবিষয়ে জানতেন না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন, এবিষয় তদন্ত চলছে। আরো কিছুদিন সময় লাগবে।

 

আলহাজ্ব কাজী দিদারবক্স ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি সূত্র ও সরেজমিন ঘুরে জানাগেছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নে আলহাজ্ব কাজী দিদার বক্স ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ২০১৯ সালে ওয়ামী নামের একটি সংস্থা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নামাজ পড়ার সুবিধার্থে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য কিছু টাকা বরাদ্দ দেয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ নির্মাণ কাজটি করে। কাজের শুরুতেই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি কাজী রাশেদুর রহমান (নান্নু) নিম্মমানের মালামাল দিয়ে কাজ করতে বারন করেন। এসময় সভাপতি  কাজের ঠিকাদার ও  মাদ্রাসা সুপারের নিকট কাজের নকশা ও সিডিউল দেখতে চান। তারা কেউ কমিটির সভাপতি বা সদস্যদেরকে সিডিউল বা নকশা দেখায়নি। এমসজিদের নির্মাণ কজের বরাদ্দ পর্যন্ত কমিটির কাউকে জানায়নি। সুপারের সাথে যোগসাজসে নিম্মমানের মালামাল দিয়ে মসজিদের কাজ শেষ করে ঠিকাদার চলে গেছেন বলে সভাপতি অভিযোগ করেছেন। তাদের ধারনা ২৫/৩০ লাখ টাকা নির্মাণ কাজে বরাদ্দ ছিল। এছাড়া মাদ্রাসার সুপার আমিমুল এহসান (সেকান্দর) মাদ্রাসা থেকে ৫০০ লিটারের একটি পানির ট্যাংকি কমিটির কাউকেই না জানিয়ে বিক্রি করেছেন। এ ঘটনা প্রকাশ হলে কমিটির সভাপতি ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা কাজী রাশেদুর রহমান (নান্নু) জানতে চাইলে সুপার স্বীকার করে লিখিত দিয়েছেন। এবিষয়ে সভাপতি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিষ্টারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার’কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়। ইতোমধ্যে গত শনিবার নির্বাহী অফিসার সরেজমিন তদন্ত করেন। তিনি উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করছেন।

 

এ ব্যাপারে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি কাজী রাশেদুর রহমান (নান্নু) বলেন, মসজিদ নির্মাণ কজের বরাদ্দ আমাকে আজও জানতে দেয়া হয়নি। কোন নকশা বা সিডিউল আমাকে দেয়নি। মসজিদ নির্মাণ কজে অনিয়ম হয়েছে। নির্মাাণ সামগ্রী নিম্মমানে ছিল। আমি খারাপ মালামাল দিয়ে কাজ করতে বারন করলেও তারা শুনেনি। আমাদের মাদ্রাসার পানির ট্যাংকি কমিটিকে না জানিয়ে সুপার বিক্রি করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আমিমুল এহসান (সেকান্দর) বলেন, মসজিদ নির্মানের জন্য আমি চেষ্টা করে বরাদ্দ করেছি। মসজিদের নির্মাণ কাজের বরাদ্দ আমি জানিনা। কোন খারাপ মালামাল দিয়ে কাজ করেনি। পানির ট্যাংকি আমি বিক্রি করিনি। আমি ঢাকায় ছিলাম। তখন শিক্ষকরা এটা বিক্রি করেছে। পরে ১০০০ লিটারের পানির ট্যাংকি কিনে দিতে চাইছি। সভাপতি মানে না।

এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার কাছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অভিযোগের তদন্ত দিয়েছে। আমি সরেজমিন তদন্ত করছি। আর কদিন সময় লাগবে। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিব। কর্তৃপক্ষ বিষয়টির ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে।

 

১নং ছবির ক্যাপশন:

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ছয়গাঁও ইউনিয়নে আলহাজ্ব কাজী দিদারবক্স মাদ্রাসায় মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর পড়ুন
© All rights reserved © 2025
Developer By Zorex Zira