রিপোর্টঃ শরীয়তপুর প্রতিনিধি।মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণা “এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না”। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এই ঘোষণাকে সম্মান জানিয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের ৩৫ একর জমির জলবদ্ধতা নিরসন করে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।৩৫ একর জমির জলবদ্ধতা নিরসনের কারণে বড়াইল গ্রামের কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে সোনালী স্বপ্ন।জানা যায়, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর সকালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের কতিপয় কৃষক জেলা প্রশাসকের গণ শুনানিতে এসে হাজির হয়েছিলেন। তখন তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখিত ঘোষণার সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন।তাদের অভিযোগ, জলবদ্ধতার কারণে প্রায় ২০ বছর ধরে বড়াইল গ্রামের ৩৫ একর জমিতে কোন চাষাবাদ করতে পারছে না তারা। এর কারণ সারা বছরই এই ৩৫ একর জমি পানিতে ডুবে থাকে। উপস্থিত কৃষকরা জেলা প্রশাসকের কাছে ওই ৩৫ একর জমির জলবদ্ধতা নিরসনের দাবী জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান তাদের দাবীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে বড়াইল গ্রামের জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।যেই নির্দেশ, সেই কাজ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয় চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ এবং কৃষকদেরকে সাথে নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বড়াইল গ্রাম পরিদর্শন করেন। জরুরী ভিত্তিতে সেখানে সেচ পাম্প বসিয়ে ৩৫ একর জমির জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন করে আবাদের জন্য উপযোগী করে তোলেন। ৩ জানুয়ারী মঙ্গলবার সেই জমি কৃষকদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, এতো বড় একটা কাজে আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন আমাদের ডিসি স্যার। পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ এবং কৃষকদের সহযোগিতা ও আন্তরিকতা না থাকলে এতো বড় একটা কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব ছিল না। কাজটি সম্পন্ন করার পর কৃষকদের চোখেমুখে সে কি আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। বাস্তবিক অর্থে বড়াইল গ্রামের পানি নিষ্কাশনের ফলে এখন কৃষকরা বছরে তিনটি ফসল চাষ করতে পারবে। এতে করে তারা অর্থনৈতিক ভাবে সম্মৃদ্ধ হবে। দীর্ঘ বিশ বছর পর নিজেদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারবে কৃষকরা। এ যেন সোনালি রোদের আভায় কৃষকদের মুখে এক ঝলক হাসির বহিঃপ্রকাশ।
Leave a Reply