কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- ঈদুল আজহায় ভালো দামে গরু বেচে লাভের মুখ দেখার আশা করেন খামারিরা। প্রতি বছরের মতো এবাও তাই হাজার হাজার গরু মোটাতাজা করেছিলেন তারা।কিন্তু এ বছর ঈদের আগে বেচা-কিনা নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন খামারি ও কৃষকরা।বন্যায় বাড়ি ও খামার তলিয়ে যাওয়ায় এদের অনেকে পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধে-রাস্তায়। খাদ্যের অভাবে দূর্বল হয়ে পড়ায় গরুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল তাদের ভেতর।বন্যা দূর্গত এলাকায় পশু চরম আকার ধারন করেছে। কারন তলিয়ে যাওয়া চারণভীমি গুলো থেকে গো-খাদ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। দেখা দিয়েছে পশুর রোগ-ব্যাধি। তাই কোরবানির হাটে ভালো দাম না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন খামারিরা। অনেক এলাকয় গরু ডাকাতি ও রাতে সাপের কামড়ের আশঙ্কায় কমদামে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা। বিশেষ করে চরাঞ্চলের খামারিরা বাধ্য হচ্ছেন লোকসানেই পশু বিক্রি করে দিতে।
আমাদের নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, কিছুদিন আগেও নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পবনডাঙ্গা গ্রামের খামারির মালিক টগরের স্ত্রী মিনা খানম দেশি প্রযুক্তিতে মোটাতাজা করা তের চৌদ্দ টা গরু নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন।আশা করেছিলেন কোরবানির ঈদে গরুগুলো বিক্রি করে তার খামারের পরিধি আরও বাড়াবেন।কিন্তু উত্তরাঞ্চলে বন্যায় তার স্বপ্ন এখন অনেকটাই আশার আলো নিভে গেছে। গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে তার এলাকায়। শুধু মিনা খানম নন একই কারনে উপজেলার জয়সাড়া গ্রামের মোস্তফা আবু হাসনাত (শিবলী) মৃধা একই কারনে এমন হতাশা এখন ভয় করছে উপজেলা শতাধীক খামারির চোখে মুখে। উপজেলা ঘুরে এবং খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা জেছে বিগত দিনের করোনাভাইরাস ও বন্যার কারনে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামারি ও কৃষক।বন্যার্ত মানুষের জন্য সরকারীভাবে ত্রান,শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হলেও অথচ এসব পশুর খাদ্য নেই বললেই চলে।তাই অনাহারে দূর্বল হয়ে পড়েছে কোরবানির হাটে বিক্রি জন্য লালন –পালন করা পশুগুলো।নওগাঁর এগারোটি উপজেলার বিস্তীণ এলাকা।বন্যার কারনে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গরু পালন করা খামারিরাও পড়েছেন বিপাকে। নওগাঁর আত্রাইয়ের খামারিরা জানিয়েছেন কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাঁকি থাকলেও এখন পর্যন্ত একটি গরুও তারা বিক্রি করতে পারেননি। এখনও জেলার বাহিরে থেকে কোন ব্যাপারী আসেননি। অথচ গতবছর কোরবানির আগে এ সময় খামারের অর্ধেক গরুই বিক্রি হয়েছিল। এ অবস্থায় কোরবানির ঈদের গরুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়েও তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।#
Leave a Reply