নিজস্ব প্রতিবেদক:-
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ২০০৯ সালে ভিকটিম (২৬) ধর্ষিত হওয়ার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং মামলা নং ১৪(১০)০৯, জিআর নং-২৪৪/০৯, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/০৩) এর ৭/৯(১)/৩০। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত বিচার কার্য চলাকালীন আসামি আমিরুল ইসলাম @রাসেল পলাতক থাকায় গত ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় অন্যতম প্রধান আসামি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন উত্তর মাহমুদাবাদ এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১৩ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক ০১৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি অভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি আমিরুল ইসলাম @রাসেল (৪২), পিতা-জাহাঙ্গীর আলম, সাং-উত্তর মাহমুদাবাদ, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে উক্ত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১৪ বছর চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে সর্বশেষ সীতাকুন্ড থানাধীন নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply