মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি:-বাগেরহাটের শরণখোলায় চাইনিজ কুড়াল ও দা দিয়ে কুপিয়ে এমাদুল হক খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বাম পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। পূর্ব শত্রুতা ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের শরণখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।। এ ঘটনায় আটক হয়েছেন একজন।
আহত এমাদুল হকের ছেলে আঃ রহমান খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার চাচা মোস্তফা খানের (৪০) সাথে জমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলছে। দুই মাস আগে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলমান।
তিনি জানান, এর মধ্যে গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে তার বাবা এমাদুল হক এশার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যান। ফেরার পথে ওৎ পেতে থাকা মোস্তফা খানের জামাই সোনাতলা গ্রামের আইয়ুব আলী হাওলাদারের পুত্র রহমান হাওলাদারের (৩৫) নেতৃত্বে তার ভাই সরোয়ার (২৫), মোস্তফা খান ও তার পুত্র বিল্লাল খান (২৭)
ও হেলাল খান (২৪) চাইনিজ কুড়াল ও দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার বাবার বাম পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ডাক চিৎকারে বাবার ভাইয়ের ছেলে খলিল খানসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। তার বাবাকে শরণখোলা
হাসপাতালে নিয়ে আসলে গেলে চিকিৎসার পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশফাক হোসেন বলেন, আহতের বাম পা প্রায় বিচ্ছিন্ন। ডান পা ও পিঠসহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার রক্তক্ষরণ চলছে এবং জীবন আশঙ্কা রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। ওসি কামরুজ্জামান খান বলেন, এ ঘটনায় আহতের ভাই রিয়াদুল ইসলাম খান শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনা সাথে জড়িত বেল্লাল খান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু
বাগের হাট জেলা প্রতিনিধি
Leave a Reply