নিজস্ব প্রতিবেদক:-বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি প্রাইভেটকার যোগে মাদকদ্রব্য বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ৩০ মার্চ ২০২৪ খ্রি: তারিখ রাত আনুমানিক ০১৪০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কস্থ ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এমন সময় র্যাবের চেকপোষ্টের দিকে আসা একটি সন্দেহজনক কালো রংয়ের প্রাইভেটকারকে থামানোর সংকেত দিলে প্রাইভেটকারটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি ১। মোঃ নেজাম উদ্দিন (২৭), পিতা- মোঃ হাফেজ আহমেদ এবং ২। মোঃ নুরুল আলম (৩৩), পিতা- মোঃ আবুল কাশেম, উভয় সাং- বেল্লাপাড়া, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের হেফাজতে থাকা প্রাইভেটকারের পিছনের ব্যাকডালার ভিতরে হতে নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে ২০ কেজি গাঁজা এবং ৫০ বোতল
ফেন্সিডিলউদ্ধার এবং
প্রাইভেটকারটি জব্দসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ ড্রাইভিং পেশার আড়ালে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য (গাঁজা ও ফেন্সিডিল) কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ফেনী, চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছে বলে স্বীকার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মুল্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
অপর একটি তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন সৈদালী এলাকায় একটি বসত ঘরে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ৩০ মার্চ ২০২৪ খ্রি: তারিখ রাত আনুমানিক ০৩৫০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকার বসত ঘরের কাছে পৌছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কতিপয় ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি
হাছিনা আক্তার (৪০), স্বামী-মোঃ সুজন, সাং-সৈদালী, থানা-মিরসরাই, জেলা-চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তার দেখানো এবং সনাক্তমতে বসতঘরের খাটের নীচে থেকে নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ০৩টি পাটের বস্তার ভিতর হতে মোট
৪৯১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য (ফেন্সিডিল) ফেনীর সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মুল্য ৫ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply