খলিলুর রহমান:চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানা দিন বসুন্ধরা আবাসিক শ্যামলী নগর এলাকা থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২৪ খ্রিঃ আনুমানিক ২০:৩০ ঘটিকার সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান পরিচালনাকারী একটি টহল টিম এলাকার বিভিন্ন গোপন তথ্য সূত্রের ভিত্তিতে, শ্যামলী নগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণ ও ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ১/ আল-আমিন হোসেন(২৮)পিতা-হোসেন, মাতা-সেলিনা, ২/ সাগর (২২) পিতা-সাজিজুল, মাতা- রওশন আরা, ৩/ মানিক (১৯) পিতা- মোস্তফা, মাতা- আকলিমা,৪/ইমদাদুল হক হৃদয় (২৩) পিতা-ইলিয়াস, মাতা-জহুরা, ৫/ রানা (২৩) পিতা -সালাম, মাতা-রোকেয়া, ৬/ রুবেল (২২) পিতা – শাহজাহান, মাতা- নাজমা, সর্ব সাং- বসুন্ধরা আবাসিক, হালিশহর, চট্টগ্রাম।
আসামীগন- চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন যাবত যোগ-সাজোসে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম ,অপহরণ, ছিনতাই , মুক্তিপণ দাবি ও মাদকের সাথে জড়িত হয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী ও আটককৃত আসামি গনের নিকট থেকে জানা যায় যে, তারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সময়ে মেয়েদের নাম ব্যবহার করে ফেইসবুক ফেক আইডি খুলে এবং
পরবর্তীতে কৌশল করে বিভিন্ন জনের সাথে মেসেঞ্জারে চ্যাট করে তাদেরকে ফাঁদে ফেলে, এবং একটা সময় তাদের সাথে দেখা করার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় এবং সেখানে ভুক্তভোগীদের সাথে থাকা টাকা পয়সা, মোবাইল ও মানিব্যাগ সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়। অনেক ক্ষেত্রে আসামিগণ ভুক্তভোগীকে যদি স্বাবলম্বী মনে করেন তাহলে তাদেরকে আটকে রেখে মুক্তিপন ও দাবি করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় উপরে উল্লেখিত ঘটনার দিন শ্যামলী এলাকায় আবাসিকের ভেতরে পরিত্যক্ত বাড়িতে তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে অপরাধ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটাবে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে , বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অভিযান পরিচালনাকারী টহল টিম তাদেরকে আটক করেন।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী কর্মকর্তাগণ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হালিশহর থানায় আসামিদের হস্তান্তর করেন।
Leave a Reply