1. admin@bijoy52tv.com : bijoy52tv :
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন

সিঙ্গাপুর প্রবাসীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ভুক্তভোগী স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

বিজয় ৫২ টিভি
  • আপডেট সময়ঃ বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪৪৮ জন দেখেছেন

পীর তানভীর শেখ, জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ:

সিঙ্গাপুর প্রবাসী শেখ ফরিদ ইকরামের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে প্রতারক স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব (বিজেসি) দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী স্বামী (সিঙ্গাপুর প্রবাসী) শেখ ফরিদ ইকরাম বলেন, আমি একজন প্রবাসী। দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছি।

আমি সিঙ্গাপুরে কর্মরত থাকাকালীন অবস্থায় বাংলাদেশে এসে গত ১৭/১২/২০১৮ ইং তারিখে আমার স্ত্রীর আপন মামাতো ভাই মোঃ আরিফুল ইসলামের মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ঝুটিগ্রাম নিবাসী মৃত আবুল বাসার মুন্সি ও রেশমা বেগমের সেজ মেয়ে ফাতেমা আক্তার (৩২) এর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমি সিঙ্গাপুরে থাকাকালীন আমার প্রতারক স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বাংলাদেশের মাসুদ রানা (৩৮), পিতা মাহবুব, সাং- রহমান ভিলা, গ্রেটওয়াল সিটি গাজীপুর চৌরাস্তা এর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। আমি সিঙ্গাপুর থেকে গত ০৬/০৮/ ২০২৪ ইং তারিখে বাংলাদেশে ছুটিতে আসি। দেশে আসার পরে আমার নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম নওখন্ডা গ্রামের নিজ বাড়িতে বসে আমার শালা, শালি, ভাইরা এবং আমার বৌয়ের বড় বোন রিমা আক্তারের কাছে গাজীপুরে থাকা আমার শ্বশুরের বাড়ির পাশে ৩ কাঠা জমি ক্রয়ের জন্য নগদ ২০ লক্ষ টাকা অগ্রিম বায়না দেই। তারা জমি না কিনে আমার কষ্টার্জিত পুরো টাকাই আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে, আমি জমির বিষয়ে ফয়সালা করার জন্য গাজীপুরে শ্বশুরবাড়িতে যাই এ সময় আমার

স্ত্রী আমার গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আমি বাড়ি থেকে যাওয়ার পরে সে তার পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ রানার সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ সময় সে আমার ঘরে থাকা নগদ এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা সহ প্রায় আনুমানিক ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আমার মায়ের চিৎকারে অন্যান্য সাক্ষীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমার স্ত্রীকে বাড়ির বাহিরে না যাওয়ার অনুরোধ করে তাকে বাঁধা দিয়ে ব্যর্থ হন। পরে সে সকলের বাঁধা অমান্য করে পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ রানার সাথে পালিয়ে যায় বলে নিশ্চিত হয়েছি।

একজন প্রবাসী হিসাবে সরকারের নিকট আমার আকুল আবেদন আমার কষ্টার্জিত খোয়া যাওয়া নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল যেন দ্রুত ফেরত পাওয়া সহ অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ সংক্রান্তে ভুক্তভোগী মুকসুদপুর আমলী আদালতে দুইটি পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর পড়ুন
© All rights reserved © 2025
Developer By Zorex Zira